শোক বানী-ই কি সাংবাদিকদের প্রাপ্য (?) Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




শোক বানী-ই কি সাংবাদিকদের প্রাপ্য (?)

শোক বানী-ই কি সাংবাদিকদের প্রাপ্য (?)




এম.কে. রানা ॥  “তুমি না সাংবাদিক, তুমি এইহানে ক্যা? ওই হানেতো একজন লোক মরছে। যাইয়া এট্টু দ্যাহো দিহি করোনায় মরছে কিনা।” “ভাই, আমরা খুব কষ্টে আছি, আমাগো লইয়া একটু লেখালেখি করতে পারেন না?” “ভাই এই করোনার মধ্যে ডাক্তার আর পুলিশ যে ঝুঁকি নিয়ে ডিউটি করে তাদের বিষয়ে একটু লেখেন যদি সরকার তাদের কিছু দেয়।” “ভাই আমরা যারা ব্যাংকার ও বিদ্যুৎ কর্মী শত ঝঞ্জার মধ্যেও আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। সরকার সবাইকে দিলেও আমাদের দেয় নাই। দয়া করে একটু আমাদের নিয়ে লেখালেখি করেন’। এ কথাগুলো করোনা পরবর্তী সরকারের প্রণোদনা ঘোষণার আগে ও পরে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন। কিন্তু হায়রে পোরা কপাল সংবাদকর্মীদের। তাদের না বলা কথাগুলো নিরবে কাঁদে। প্রকাশের কোন সুযোগ নাই। কিছু ব্যতীক্রমও আছে বটে। তবে তা নিয়ে সংবাদকর্মীদের মধ্যে শান্তনার চেয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয় বেশি।

করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশে প্রথম আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সর্বশেষ পরিস্থিতির তথ্য নিয়মিত পরিবেশন করছেন সাংবাদিকরা। দেশের এই দুর্যোগ মুহুর্তে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন গণমাধ্যম কর্মীরা। আর এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইতিমধ্যে আমরা হারিয়েছি আমাদের দুই সহকর্মীকে। সকল মানুষের সংবাদ প্রকাশ করতে করতে তারাই আজ সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। বিনিময়ে তারা পেয়েছেন একটু কভারেজ। একটু শোক বিবৃতি আর কিছু নয়। অথচ রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়ে থাকে সংবাদপত্র/সাংবাদিকদের। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সেক্টরে সরকারি প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকদের জন্য কি আদৌ কোন প্রণোদনা ঘোষণা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি দুর্দশায় রয়েছেন মফস্বল সাংবাদিকরা। কেননা মফস্বলের বেশিরভাগ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের ন্যায্য বেতন বা সম্মানীভাতা প্রদান করেন না। ফলে অনেকেই এখন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তবুও দায়িত্ববোধ থেকে তারা থেমে নেই। সংবাদকর্মীরাই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও মাঠে থেকে সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রম, সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রচারণাসহ সেবামূলক অনেক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন কোন স্থানে কর্মহীন পথশিশুদের অন্ন যোগান দিচ্ছেন তারা।

মানুষের প্রয়োজনে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, এমনকি সমাজের প্রয়োজনে কাজ করতে গিয়ে অনেক স্থানেই সাংবাদিকরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আমাদের দুই সহকর্মী। তাদের পরিবার এখন কতটা অসহায় তা শুধু ওই পরিবারের লোকই ভাল উপলব্দি করতে পারেন।

যাদের দায়িত্বই হচ্ছে অন্যের কাজে ব্যবহৃত হওয়া সেই সকল সংবাদকর্মীদের দুর্দিনে পাশে দাড়ানো মানে শুধু ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন আর দুটি শোক বানী (!)। এটাই কি তাদের প্রাপ্য? দেশের দুর্যোগকালীন সময়ে সবার আগে সংবাদকর্মীদের এগিয়ে যাওয়ার পুরস্কার কি এতটুকুই?

আমি অতি নগণ্য একজন সংবাদকর্মী হিসেবে বলতে চাই আমাদেরও আছে অধিকার। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভকে টিকিয়ে রাখতে সরকারেরও আছে দায়িত্ব। আমরা শুধু প্রশংসা আর পুরস্কার নয়, চাই আমাদের ন্যায্য অধিকার।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD